
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগের নাম সহজে মনে রাখার উপায় 2025
Table of Contents
ব্যাকটেরিয়া
ব্যাকটেরিয়া হলো এক প্রকারের আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত,অসবুজ, এককোষী অণুজীব। এরা এবং (আরকিয়া) হলো প্রোক্যারিয়ট (প্রাক-কেন্দ্রিক)। ব্যাকটেরিয়া আণুবীক্ষণিক জীব। বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ফন লিউয়েন হুক সর্বপ্রথম ১৬৭৫ খ্রিস্টাব্দে বৃষ্টির পানির মধ্যে নিজের তৈরি সরল অণুবীক্ষণযন্ত্রের নিচে ব্যাকটেরিয়া পর্যবেক্ষণ করেন।
আদিকোষী অণুজীবদের একটি বিরাট অধিজগৎ ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গঠিত। সাধারণত দৈর্ঘ্যে কয়েক মাইক্রোমিটার ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন ধরনের আকৃতি রয়েছে, গোলকাকৃতি থেকে দণ্ডাকৃতি ও সর্পিলাকার পর্যন্ত ব্যাপ্ত।
ব্যাকটেরিয়া জনিত ১৬টি রোগ সহজেই মনে রাখার উপায়:
যখন টমি মিআ ধোকা খায় তখন ডা. বিপ্লব হেসে হেসে গান করে ফেসে যায়
- যখন = যক্ষা
- টমি = টাইফয়েড,প্যারাটাইপয়েড
- মি = মেনিন জাইটিস
- আ = অ্যানথ্রাক্স
- ধো = ধনুষ্টংকার
- কা = কুষ্ঠ (লেপ্রোসী)
- ডা. = ডিপথেরিয়া
- বি = বটুলিজম
- প্লব = প্লেগ
- হে = হুপিংকাশি
- সে = সিফিলিস
- গান = গনোরিয়া
- ক = কলেরা
- রে = রক্ত আমাশয়
- ফেসে = ফোড়া
ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগসমূহ মনে রাখার কৌশল :
জামাই TSC ফাঁড়িরর পাশে লাল মিয়ার ডিম নেয় তাই আজ দিপু বসে বসে গান করে
- জামাই = যক্ষা
- TSC = টিটেনাস,এনথ্রাক
- স = সিফিলিস
- ফাঁড়ির = ফোঁড়া
- পাশে = প্যারাটাইফয়েড
- লাল = ল্যাপ্রসি
- মিয়ার = মেলানজাইটিস
- ডিম = ডিপথেরিয়া
- নেয় = নিউমোনিয়া
- তাই = টাইফয়েড
- আজ = এনডিডলেটেড বিভার
- বিপু = বটুলিজম
- হেসে হেসে = হুপিং কাশি
- গান = গনোরিয়া
- করে = কলেরা
ভাইরাস
ভাইরাস হলো অতিক্ষুদ্র সংক্রামক কারক যা শুধুমাত্র একটি জীবন্ত কোষের অভ্যন্তরে বংশবৃদ্ধি করতে পারে। ভাইরাস উদ্ভিদ, প্রাণী থেকে শুরু করে ব্যাকটেরিয়া, আর্কিয়া সহ সকল জীবজগতকে আক্রান্ত করে। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি বাস্তুতন্ত্রেই ভাইরাস পাওয়া যায় এবং এরা হলো সবচেয়ে বহুল সংখ্যক জৈবিক সত্ত্বা।
১৮৯২ সালে দিমিত্রি ইভানভস্কি তামাক গাছের একটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত নয় এমন রোগের বর্ণনা করার পর এবং ১৮৯৮ সালে মার্টিনাস বেইজেরিংক তামাকের মোজাইক ভাইরাস আবিষ্কারের পর থেকে, লক্ষাধিক ভাইরাস প্রজাতির মধ্যে ১১,০০০ এরও বেশি প্রজাতিকে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

ভাইরাস জনিত ১৪টি রোগ সহজেই মনে রাখার উপায়:
এই পোলির মা হার জিত হবে গফুর ও নিপাকে ডাক
- এ = এনসেফালাইসিস ও এইডস
- ই = ইনফ্লুয়েঞ্জা ও ইবোলা
- পোলির = পোলিও
- মা = মাম্পস
- হার = হারপিস
- জিত = জলাতঙ্ক ও জন্ডিস(A,B,C,D,E)
- হ = হাম ও হংকং ভাইরাস(SARS)
- বে = বসন্ত(গুটি বসন্ত ও জল বসন্ত)
- গ = গরু মহিষের ক্ষুরা রোগ
- ফু = সোয়াইন ফ্লু ও বার্ড বার্ড ফ্লু
- র = রানীক্ষেত(মুরগী)
- নিপা = নিপা ভাইরাস
- ডা = ডেংগু
- ক = ক্যান্সার(প্যাপিলোমা)
ভাইরাস জনিত রোগ সহজেই মনে রাখার উপায়:
হায় হায় দেশে বসন্ত মাস এল ভাই কে ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বরে পেল
- হায় = হাম
- হায় = হার্পিস
- দেশে = ডেঙ্গু
- বসন্ত = বসন্ত
- মাস = মাম্পস
- এল = এইডস
- ভাই = ভাইরালহেপাটাইটিস
- ইনফ্লুয়েঞ্জা = ইনফ্লুয়েঞ্জা
- জ্বরে = জ্বলাতংক
- পেল = পোলিও
ভাইরাস থেকে আবিষ্কৃত প্রতিষেধক সমূহ মনে রাখার সূত্র :
বউকে পিটিয়ে পল আজ জেলে
- বউকে = বসন্ত
- পি = প্লেগ
- টিয়ে = টাইফয়েড
- পল = পোলিও
- জ ( আজ ) = জন্ডিস
- জেলে = জলাতঙ্ক
অথবা এভাবে ও মনে রাখতে পারেন ভাইরাস থেকে আবিষ্কৃত প্রতিষেধক সমূহ
জনে জনে পাশে বসে প্রতিষেধক টিকা খাওয়াই
জনে = জন্ডিস
জনে = জলাতঙ্ক
পাশে = পোলিও
বসে = বসন্ত
প্রতিষেধক = প্লেগ
টিকা = টাইফয়েড
খাওয়াই = ছন্দ রাখার জন্য
গ্রাম পজেটিভ ব্যাক্টেরিয়া:
যেসব ব্যাকটেরিয়া গ্রাম স্টেইনিং পদ্ধতিতে পজিটিভ ফলাফল দেয়, ব্যাকটেরিওলজিতে তাদেরকে গ্রাম-পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া বলা হয়। প্রথাগতভাবে গ্রাম স্টেইনিং পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের উপর ভিত্তি করে, এদেরকে দুইটি বৃহৎ গোষ্ঠীতে শ্রেণীভুক্ত করা করা হয়।
গ্রাম-পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া গ্রাম-পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ক্রিস্টাল ভায়োলেট রঞ্জক দিয়ে রঞ্জিত হয় এবং অপটিকাল মাইক্রোস্কোপের নিচে দেখলে পার্পল বর্ণ প্রদর্শন করে; কারণ বিবর্ণ করার পর্যায়ে বাকি নমুনা থেকে স্টেইন ধুয়ে ফেলার পরেও ব্যাকটেরিয়া কোষ প্রাচীরের পুরু পেপটিডোগ্লাইকান স্তরটি তা ধরে রাখতে পারে।
গ্রাম পজেটিভ ব্যাক্টেরিয়া মনে রাখার উপায়:
ক্লাস্টাই একটু ল্যাক আছে
ক্লা = ক্লস্ট্রিডিয়াম
স্টা = স্ট্যাফাইলো কক্কাস
একটু = একটিনো ব্যাক্টেরিয়া
ল্যাক = ল্যাক্টিক এসিড
গ্রাম নেগেটিভ ব্যাক্টেরিয়া
যেসব ব্যাকটেরিয়া, “ব্যাকটেরিয়া পৃথকীকরণ”এর গ্রাম স্টেইনিং পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ক্রিস্টাল ভায়োলেট রঞ্জক ধরে রাখে না, তাদেরকে গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া বলে। এরা তাদের কোষ এনভেলপ দ্বারা চিহ্নিত হয়, যা একত্রে একটি অন্তঃস্থ সাইটোপ্লাজমিক কোষ ঝিল্লি এবং একটি বহিঃস্থ ঝিল্লির মাঝে স্যান্ডউইচকৃত অবস্থায় থাকা পাতলা পেপটিডোগ্লাইকানের কোষ প্রাচীর নিয়ে গঠিত।
গ্রাম নেগেটিভ ব্যাক্টেরিয়া মনে রাখার উপায়:
সায়ান শিলা সালমা রাজু কাল কোলকাতায় গেল
- সায়ান = সায়ানো
- শিলা = শিগেলা
- সালমা = সালমোনেল্লা
- রাজু = রাজোবিয়াম
- কাল = কলেরি
- কলকাতা = কোলাই