সূচিপত্র:পৃথিবীর সেরা সুন্দরী মহিলা নির্বাচন করা একটি ব্যক্তিগত ধারণা এবং সাংস্কৃতিক পছন্দের ব্যাপার। বিভিন্ন যুগে এবং সমাজে বিভিন্ন মহিলাকে তাদের সৌন্দর্য, গুণাবলি, এবং সাফল্যের জন্য প্রশংসিত করা হয়েছে। তবে, সৌন্দর্য সম্পূর্ণরূপে বাহ্যিক নয়; এটি একটি সমন্বিত ধারণা, যেখানে আত্মবিশ্বাস, ক্ষমতা, সহানুভূতি, এবং অন্যান্য গুণাবলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
Most Beautiful Women In The World
তবে কিছু বিশ্ববিখ্যাত সুন্দরী মহিলার নাম উল্লেখ করা যেতে পারে, যাদের সৌন্দর্য এবং প্রভাব বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে:
1. অ্যাঞ্জেলিনা জোলি (Angelina Jolie)
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি একজন মার্কিন অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও মানব হিতৈষী। তিনি তিনবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, দুইবার স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার এবং একবার একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছেন।
চলচ্চিত্র জগতের বাইরে ২০০১ সালে তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার শুভেচ্ছাদূত মনোনীত হয়েছেন। বিশ্বব্যাপী মানবতার প্রচার, বিশেষ করে শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করার জন্য জোলি বিশেষভাবে সমাদৃত। একাধিকবার তিনি ‘বিশ্বের সেরা সুন্দরী’ নির্বাচিত হয়েছেন। রূপালী পর্দার অন্তরালে তার ব্যক্তিগত জীবন প্রায় সময়ই গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার লাভ করেছে।
১৯৮২ সালে লুকিন’ টু গেট আউট চলচ্চিত্রে বাবা জন ভইটের সাথে একটি শিশু চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে জোলির আবির্ভাব হয়। তবে পেশাদার চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে তার অভিষেক ঘটে স্বল্প বাজেটের ছবি সাইবর্গ ২ (১৯৯৩)-এ অভিনয়ের মাধ্যমে। তার অভিনীত প্রথম বড় মাপের ছবি হ্যাকারস (১৯৯৫)।
এই ছবিতে তিনি নামভূমিকায় অভিনয় করেন। পরবর্তীতে তাকে জর্জ ওয়ালেস (১৯৯৭) ও জিয়া (১৯৯৮)-এর মতো সমালোচক-নন্দিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। নাট্য চলচ্চিত্র গার্ল, ইন্টারাপ্টেড (১৯৯৯)-এ অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
ভিডিও গেম নায়িকা লারা ক্রফ্ট চরিত্র নিয়ে লারা ক্রফ্ট: টুম্ব রেইডার (২০০১) চলচ্চিত্রে অভিনয় তার তারকাখ্যাতি আরও বাড়িয়ে দেয়। মূলত এরপর থেকেই অ্যাঞ্জেলিনা জোলি হলিউডের অন্যতম ও সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক-প্রাপ্ত একজন অভিনেত্রী হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন।
তার চলচ্চিত্র-জীবনের সর্বোচ্চ ব্যবসায়িক সাফল্য যে দুটি চলচ্চিত্র থেকে এসেছে সেগুলো হলো অ্যাকশন-কমেডিধর্মী মি. এন্ড মিসেস. স্মিথ (২০০৫) এবং অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র কুং ফু পান্ডা (২০০৮)।
ব্যক্তিগত জীবনে জোলি তিনবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। প্রথমবার অভিনেতা জনি লি মিলার, দ্বিতীয়বার বিলি বব থর্নটন ও তৃতীয়বার ব্রাড পিটের সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
পরবর্তীতে সকলের সাথেই তার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। জোলি-পিট যুগলের দাম্পত্য সম্পর্ক বিশ্বের গণমাধ্যমগুলোতে বারংবার আলোচিত হয়েছে। তাদের সন্তান-সন্ততির সংখ্যা ছয়; এর মধ্যে রয়েছে নিজেদের ৩ সন্তান শিলোহ, নক্স ও ভিভিয়ান; এবং বিভিন্ন সময়ে দত্তক নেয়া তিন সন্তান ম্যাডক্স, প্যাক্স ও জাহারা।
2. এমা ওয়াটসন (Emma Watson)
এমা শার্লট ডিউয়ার ওয়াটসন একজন বিখ্যাত ব্রিটিশ অভিনেত্রী ও মডেল, যিনি এমা ওয়াটসন নামেই বেশি পরিচিত। তিনি বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয় হ্যারি পটার চলচ্চিত্রের হারমায়োনি গ্রেঞ্জারের চরিত্রে অভিনয় করে সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেছেন।
ওয়াটসন নয় বছর বয়সে এই চরিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। এর আগে তিনি বিদ্যালয়ের মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছিলেন। ২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ওয়াটসন হ্যারি পটারকে ঘিরে নির্মিত প্রথম ছয়টি চলচ্চিত্রে ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করেন। এসব চলচ্চিত্রে তার সহকর্মী ছিলেন ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফ (হ্যারি পটার চরিত্রে ) এবং রুপার্ট গ্রিন্ট ( রন উইসলি চরিত্রে )।
এছাড়াও তিনি হ্যারি পটার ধারাবাহিকের শেষ দুটি চলচ্চিত্র হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোসেও অভিনয় করেছেন। হ্যারি পটার চলচ্চিত্রে অভিনয় করে একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জনের পাশাপাশি এসব চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১০ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি আয় করেন।
২০০৯ সালে তিনি প্রথমবারের মত মডেলিং করেন। এই অভিনেত্রী বর্তমানে ইউএন ওমেনের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন, এর পাশাপাশি তিনি লিঙ্গ বৈষম্যের ব্যাপারে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন।
২০০৭ সালে ওয়াটসন হ্যারি পটার চলচ্চিত্র ছাড়াও অন্য দুইটি চলচ্চিত্রের সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা ঘোষণা করেন। একটি হল - শিশু-ঔপন্যাসিক নোয়েল স্ট্রিটফিল্ডের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ব্যালেট সুজ এবং অন্যটি - দ্য টেল অব ডেসপ্যারক্স নামে একটি অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র।
ব্যালেট সুজ ২০০৭-এর ডিসেম্বরে টেলিভিশনে প্রচারিত হয় যা বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫.২ মিলিয়ন দর্শক উপভোগ করেন। দ্য টেল অব ডেসপারেক্স নামের অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটি মার্কিন ঔপন্যাসিক কেট ডিক্যামিলোর একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়। এটি ২০০৮ সালে মুক্তি পায় এবং বিশ্বব্যাপী $৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও অধিক মুনাফা অর্জন করে।
২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত এমা ওয়াটসন তার পড়ালেখার পাশাপাশি চলচ্চিত্রের কাজেও নিজেকে জড়িত রাখেন। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। ২০১৪ সালে তিনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।
ওয়াটসন মডেল হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষেও কাজ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল - বারবেরি এবং লনকোম। ব্রিটিশ একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস ২০১৪ সালে ওয়াটসনকে বর্ষসেরা ব্রিটিশ আর্টিস্ট পুরস্কারে ভূষিত করে।
একই বছরে ইউএন ওমেন ওয়াটসনকে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নির্বাচিত করে। ইউএন ওমেনের হিফরশি প্রচারণায় ওয়াটসন সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন। এই প্রচারণার মূল উদ্দেশ্য ছিল - ‘পুরুষতান্ত্রিক সমাজকে লিঙ্গ সমতার পক্ষে কাজ করার জন্য আহ্বান জানানো’। এরপর থেকেই তিনি জেন্ডার ইকুয়ালিটি ( লিঙ্গ সমতা ) নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন ।
3. মনিকা বেলুচ্চি (Monica Bellucci)
মোনিকা বেলুচ্চির জন্ম ইতালির সিত্তা দি কাসতেল্লো, উমব্রিয়াতে। তার মা মারিয়া গিসতিনেল্লি একজন চিত্রশিল্পী ও বাবা লুইগি বেলুচ্চি একটি ট্রাকিং কম্পানির স্বত্তাধিকারী ছিলেন। ১৬ বছর বয়সে লিসিও ক্লাস্সিকোতে যোগদানের সময় বেলুচ্চি মডেলিং শুরু করেন।
বেলুচ্চি তার পেশাজীবন একজন আইনজীবী হিসেবে শুরু করতে চেয়েছিলেন, এজন্য তিনি পেরুজা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতনাদি পরিশোধ করার জন্য তিনি মডেলিং করতেন, কিন্তু আইন পড়াটাই ছিলো তার সবসময়ের ধ্যানজ্ঞান।
তিনি অনর্গল ইংরেজি, ফরাসী ও ইতালীয় ভাষায় কথা বলতে পারেন; এবং দক্ষতার সাথে স্পেনীয় ভাষায় কথা বলতে পারেন। দ্য প্যাশন অফ দ্য খ্রাইস্ট চলচ্চিত্রের ম্যারি ম্যাগদালিন চরিত্রে অভিনয়ের সময় তিনি এই ভাষাগুলোর সাথে সাথে আরামিক ভাষায়ও সংলাপ বলেছেন।
বেলুচ্চি অভিনেতা ভিনসেন্ট কাসল-এর সাথে বিবাহিত, এবং তার সাথে অনেক চলচ্চিত্রে বেলুচ্চি অভিনয় করেছেন। তাদের ডেভা (জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০০৪) নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
২০০৪ সালে, যখন তিনি গর্ভবতী ছিলেন, তখন তিনি ইতালীয় ম্যাগাজিন ভ্যানিটি ফেয়ার-এ নগ্ন ভঙ্গিমায় উপস্থাপিত হন। ইতালির একটি আইন মোতাবেক শুক্রাণু দান, সমকামিতা এবং যৌনতা ও প্রজনন সংক্রান্ত অনেক রক্ষণশীল ধারণার বিরোধিতা করে প্রতিবাদস্বরূপ এটি তিনি করেন।
চলচ্চিত্রে চরিত্রের প্রয়োজনে নগ্ন হবার ব্যাপারে তার স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, "নগ্নতা নিয়ে আমার স্বাচ্ছন্দ্যের একটি কারণ এই যে আমি ইউরোপীয়, এবং আমার শরীরের সাথে আমার সম্পর্ক অনেক ভালো।...নগ্নতাকে ভয় পাবার কী আছে? নগ্নতা একটি বিশুদ্ধ ব্যাপার, তা না হলে মিকেলাঞ্জেলো বা রাফায়েলোর মতো শিল্পীরা নগ্নতা নিয়ে এত আগ্রহী ছিলেন কেন? নগ্নতা যেন ম্যাজিকের মতো।"
4. বিউন্সে নোলস (Beyoncé Knowles)
বিয়ন্সে জিযেল নোলস মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী। এই শতকের প্রথম দশকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সফল গায়িকা নির্বাচিত হয়েছেন বিয়ন্সে নোয়েলস।
২০১২ সালে জনপ্রিয় সাময়িকী পিপল সংগীত তারকা বিয়ন্সে নোয়েলসকে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারী হিসেবে মনোনীত করে। পত্রিকাটির বিশেষ সংখ্যায় বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে এক নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন বিয়ন্সে।
এই কৃতিত্ব অর্জনের অনুভূতি জানাতে গিয়ে বিয়ন্সে বলেন, ‘এর আগে নিজেকে যতটা সুন্দরী বলে ভেবেছি, এখন এর চেয়ে আরও বেশি মনে হচ্ছে। কারণ, আমি সন্তানের জন্ম দিয়েছি।’
৫২তম গ্র্যামির আসরে শীর্ষ ৬টি পুরস্কার জিতেছিলেন বিয়ন্সে নোয়েলস। বিয়ন্সে নোয়েলসই প্রথম গায়িকা, যে গ্র্যামির এক আসরে সর্বাধিক পুরস্কার জিতেছেন। পেয়েছিলেন সর্বাধিক মনোনয়ন। বিবিসি তাই স্বাভাবিকভাবেই বিয়ন্সে নোয়েলসকে অভিহিত করেছে 'গ্র্যামির রানী' হিসেবে।
5. অ্যালিয়া ভাট (Alia Bhatt)
আলিয়া ভাট একজন ব্রিটিশ-ভারতীয় অভিনেত্রী এবং গায়িকা, যিনি মূলত বলিউড চলচ্চিত্রে কাজ করেন। ২০১৭ সালে থেকে তিনি ফোর্বস ইন্ডিয়ার সেলিব্রিটি ১০০ তালিকায় এবং ২০১৭ সালে ফোর্বস এশিয়ার থার্টি আন্ডার থার্টি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
ভাট পরিবারে জন্মগ্রহণকারী আলিয়া, চলচ্চিত্র নির্মাতা মহেশ ভাট এবং অভিনেত্রী সোনি রাজদানের কন্যা। ১৯৯৯ সালে তনুজা চন্দ্র পরিচালিত সংঘর্ষ চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পীর ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে।
পরবর্তীকালে একজন প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেত্রী হিসাবে সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও বরুণ ধবনের বিপরীতে করণ জোহর পরিচালিত প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্ত্বক স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার (২০১২) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নিয়মিত অভিনয় শুরু করেন তিনি; যেটি সে বছরের বক্স অফিসে সাফল্য অর্জন করে।
তিনি জোহরের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধর্ম প্রোডাকশন্স প্রযোজিত বেশকয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনেত্রী হিসাবে বলিউড চলচ্চিত্র শিল্পে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যার মধ্যে টু স্টেট্স (২০১৪), হাম্পটি শর্মা কি দুলহনিয়া (২০১৪), ডিয়ার জিন্দেগি (২০১৬) এবং বদ্রীনাথ কি দুলহনিয়া (২০১৭) অন্তর্ভুক্ত।
২০১৪ সালে, ইমতিয়াজ আলী পরিচালিত হাইওয়ে পথচলচ্চিত্রে স্টকহোম সিনড্রোমে আক্রান্ত কিশোরীর চরিত্রে ভাটের অভিনয় চলচ্চিত্র সমালোচকদের ইতিবাচক মন্তব্য লাভ করে। চলচ্চিত্রটির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার জিতেছেন এবং একই অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্যও মনোনয়ন পেয়েছেন।
২০১৬ সালে, উড়তা পাঞ্জাব অপরাধ নাট্য চলচ্চিত্রে দারিদ্র্যপীড়িত অভিবাসী চরিত্রে এবং ২০১৮ সালে রাজি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ভাট শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। পরবর্তীকালে তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রের সর্বাধিক উপার্জনকারী মহিলা-নের্তীত্বাধীন চলচ্চিত্রগুলিতে কাজ করেছিলেন।
২০১৯ সালে তার সর্বাধিক উপার্জনকারী সঙ্গীতধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র গালি বয় মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি ৯২তম একাডেমি পুরস্কারে সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে ভারত থেকে নির্বাচিত হয়েছিল।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি, ভাট তার পোশাক এবং হ্যান্ডব্যাগগুলির নিজস্ব ধারার বিবর্তন ঘটিয়েছেন এবং বাস্তুতান্ত্রিক উদ্যোগের অংশ হিসাবে কোএক্সজিস্ট নামক একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি তার অভিনীত ছয়টি চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠশিল্পী হিসাবে কাজ করেছেন, যার মধ্যে ২০১৪ সালের একক "সামঝাওঁ আনপ্লাগড" গানটি প্রায়শই তিনি মঞ্চ শো এবং কনসার্ট সফরে পরিবেশন করেছেন। এছাড়াও তিনি নিয়মিত মঞ্চে একক ও যৌথ পরিবেশনায় অংশ নিয়ে থাকেন।
6. রিহানা (Rihanna)
রবেইন রিয়ানা ফেন্টি একজন বার্বাডিয়ান গায়ক, গীতিকার, এবং অভিনেত্রী। জন্ম সেন্ট মাইকেল, বার্বাডোসে এবং বেড়ে ওঠেছেন ব্রিজটাউন-এ, তিনি প্রথম সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেন ২০০৩ সালে সঙ্গীত প্রযোজক ইভান রজার্স এর প্রযোজনায় ডেমো টেপে অংশগ্রহণ করে।
পরিনামে তিনি ডেফ জ্যাম রের্কডিংস এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হন, তখনকার এটির প্রেসিডেন্ট হিপ হপ প্রযোজক ও র্যাপার জে জি এর কাছে অডিশন দেওয়ার পর। ২০০৫ সালে, রিয়ানা তার প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম মিউজিক অব দ্য সান এবং এর থেকে অনুপ্রেরিত আ গার্ল লাইক মি (২০০৬) প্রকাশ করে খ্যাতি অর্জন করেন।
"আ গার্ল লাইক মি" মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিলবোর্ড ২০০ এর তালিকার সেরা দশে অবস্থান করে এবং যথাক্রমে প্রযোজনা করেন একক সঙ্গীত "পন ডি রিপ্লে" এবং "সস"।
তিনি তার সঙ্গীত পুনঃপ্রতিষ্ঠার সময় তার তৃতীয় স্টুডিও অ্যালবাম গুড গার্ল গন ব্যাড (২০০৭) জন্য সৃজনশীল নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং নিজে একটি যৌন প্রতীক হিসাবে পাবলিক ইমেজ গ্রহণ করেন। এই অ্যালবামের সফল একক সঙ্গীত "আমব্রেলা" তার কর্মজীবনে একটি আন্তর্জাতিক সাফল্য হয়ে ওঠে, এর জন্য ২০০৮ সালে শ্রেষ্ঠ র্যাপ/সাং কোলাবরেশনের জন্য জে জির সাথে যৌথভাবে তিনি তার প্রথম গ্র্যামি পুরস্কার জিতেন।
চারটি ধারাবাহিক প্লাটিনাম স্টুডিও প্রকাশের পর, গ্র্যামি পুরস্কার বিজয়ী ইউনিপোজ্যাটিক (২০১২) সহ, তিনি একজন পপ আইকন হিসাবে স্বীকৃত ছিলেন। তার অষ্টম স্টুডিও অ্যালবাম 'এন্টি' '(২০১৬) এবং এর লিড একক সঙ্গীত "ওয়ার্ক" 'বিলবোর্ড' ২০০ এবং হট ১০০ এর এক নম্বর স্থানে অবস্থান করে। তার অনেক গানই স্থান পায় বিশ্বের সর্বকালের সেরা-বিক্রিত একক সঙ্গীত হিসেবে, এদের মধ্যে "আম্ব্রেলা", "টেইক এ বো", "ডিস্টারর্বিয়া", "অনলি গার্ল (ইন দ্য ওয়ার্ল্ড)", "এসএন্ডএম", "উই ফাউন্ড লাভ", "ডায়মন্ডস", এবং "স্টে" যেগুলোতে তিনি ছিলেন প্রধান শিল্পী , এবং তার সহযোগীতামূলক সঙ্গীতগুলো হচ্ছে "লিভ ইউর লাইফ" (সাথে টি.আই), "লাভ দ্য ওয়ে ইউ লাই" এবং "দ্য মনস্টার"।
বিশ্বব্যাপী ২৩০ মিলিয়ন রেকর্ডের চেয়ে বেশি বিক্রির মাধ্যমে, রিয়ানা সর্বকালের সর্বোচ্চ বিক্রিত গানের সঙ্গীতশিল্পীর মধ্যে একজন। রিয়ানা হচ্ছে সবচেয়ে কম বয়সী এবং দ্রুততম সোলো শিল্পী যার বিলবোর্ড হট ১০০ তালিকায় প্রথম স্থানে অবস্থান করা ১৪টি একক-সঙ্গীত রয়েছে, এবং ২০০০ দশকের ডিজিটাল সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে নামাঙ্কিত হয়েছেন এবং বিলবোর্ড কর্তৃক ২০১০ দশকের টপ হট ১০০ শিল্পীর মধ্যে স্থান পেয়েছেন।
তিনি অসংখ্যা পুরস্কার ও মনোনয়ন অর্জন করেছেন। রিয়ানা আটটি গ্র্যামি পুরস্কার, বারোটি আমেরিকান মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস, বারোটি বিলবোর্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস এবং ২০১৩ সালে আমেরিকান মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস-এর উদ্বোধনী আইকন পুরস্কার জিতেছেন।
প্রায়শই তার শৈলী পরিবর্তনেরর জন্য তিনি ঘনিষ্ঠভাবে স্বীকৃত, তিনি ২০১৪ সালে কাউন্সিল অফ ফ্যাশন ডিজাইনারস অফ আমেরিকা থেকে তিনি ফ্যাশন আইকন লাইফটাইম পুরস্কার লাভ করেন। ফোর্বস রিয়ানাকে ২০১২ সালের চতুর্থ সবচেয়ে ক্ষমতাশালী সেলেব্রেটি হিসাবে নির্বাচিত করে, এবং পরের বছর টাইম (ম্যাগাজিন) তাকে পৃথিবীর ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় তাকে স্থান দিয়েছে।
7. সারা অ্যালেকজান্ড্রা (Sara Sampaio)
সারা পিন্টো সাম্পাইও (জন্ম 21 জুলাই 1991) একজন পর্তুগিজ মডেল এবং অভিনেত্রী, যিনি একজন ভিক্টোরিয়ার সিক্রেট অ্যাঞ্জেল হিসেবে পরিচিত। তিনি একজন জর্জিও আরমানি বিউটি অ্যাম্বাসেডর এবং ক্যালজেডোনিয়ার জন্য কাজ করেন।
তিনি 2011, 2012, 2014, 2015 এবং 2016 সালে গ্লোবস ডি ওরো (পর্তুগিজ গোল্ডেন গ্লোব) এ সেরা মহিলা মডেল নির্বাচিত হন। 2019 সালে, তিনি বছরের সেরা ফ্যাশন ব্যক্তিত্বের বিজয়ী ছিলেন।
সাম্পাইও উত্তর পর্তুগালের পোর্তোর উপকণ্ঠে বেড়ে ওঠেন। তার বাবা, আরমান্দো সাম্পাইও, একটি পেশাদার স্কুবা ডাইভিং কোম্পানির জন্য কাজ করেন এবং তার মা ক্রিস্টিনা সাম্পাইও, একটি আমদানি কোম্পানিতে কাজ করেন। তার আন্দ্রে নামে এক ভাই আছে।
উচ্চ বিদ্যালয় শেষ করার পর, সাম্পাইও লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
ভোগের সাথে সাক্ষাত্কারে, সাম্পাইও নগ্ন ছবি তোলার বিষয়ে আলোচনা করেছেন, যা তিনি ক্ষমতায়ন খুঁজে পেয়েছেন এবং মডেলিং সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি সাধারণত শৈল্পিক অভিব্যক্তির একটি রূপ হিসাবে। সাক্ষাত্কারে, তিনি বলেছেন "দিনের শেষে, আমরা নগ্ন হয়ে জন্মগ্রহণ করেছি, এবং আমরা এভাবেই যাচ্ছি"।
যাইহোক, তিনি লুই ম্যাগাজিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন এবং তাদের কভারের জন্য নগ্ন হওয়ার জন্য তাকে ধমক দিয়েছিলেন যখন তিনি অনুরোধ করেছিলেন যে তার চুক্তিতে একটি নগ্নতা বিধিনিষেধ রয়েছে। সাম্পাইও শরীর-লজ্জার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন যে "সবাই আলাদা এবং প্রতিটি বিপাক আলাদা"। মডেলটি ভিক্টোরিয়াস সিক্রেটের "এ বডি ফর এভরিবডি" প্রচারণার অংশ ছিল।
8. হ্যালি বেল্ডউইন (Hailey Baldwin)
হেইলি রোড বিবার (এন ব্যাল্ডউইন;[৩] জন্ম: নভেম্বর ২২, ১৯৯৬) হচ্ছেন একজন আমেরিকান মডেল এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব।
ব্যাল্ডউইন অ্যারিজোনার টুসান জন্মগ্রহণ করেন ব্যাল্ডউইন ভাইদের কনিষ্ঠ, অভিনেতা স্টিফেন ব্যাল্ডউইন, ও গ্রাফিক ডিজাইনার ক্যানইয়া দেওদাতো ব্যাল্ডউইনের ঘরে। তার মা ইতালীয় ও পর্তুগীজ বংশোদ্ভূত একজন ব্রাজিলীয় এবং তার বাবা হচ্ছেন একজন ইংরেজি, আইরিশ, স্কটিশ, ফ্রেঞ্চ ও জার্মান বংশোদ্ভূত। ব্যাল্ডউইনের পিতামহ ব্রাজিলিয়ান সঙ্গীতজ্ঞ এউমির দেওদাতো।
ব্যাল্ডউইনের ক্যারিয়ারের শুরুতে একজন পেশাদার ক্লাসিক ব্যালেট ড্যান্সার হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তার ট্রেইনিং পায়ে আঘাত পাওয়ার কারণে শেষ হয়ে যায়।
২৩ নভেম্বর, ২০১৮ তারিখে এটি নিশ্চিত হয়েছিল যে ব্যাল্ডউইন কানাডিয়ান গায়ক-গীতিকার জাস্টিন বিবারকে বিয়ে করেছিলেন। এই দম্পতি জুলাই ৭, ২০১৮ সাল থেকে এনগেজড করেছিলেন। ডিসেম্বর ২০১৫ থেকে জানুয়ারী ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত তারা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে সংক্ষেপে তারিখ নির্ধারণ করেছিল, তারপর মে ২০১৮ সালে পুনর্মিলিত হয়েছিলেন।
ব্যাল্ডউইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তার নাম ''হেইলি বিবার'' এ পরিবর্তন করেন এবং বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে "হেইলি বিবার" নামটি ব্যবহার করার জন্য ট্রেডমার্ক লাইসেন্সের অনুরোধ করেন।
9. ক্যাটরিনা কাইফ (Katrina Kaif)
ক্যাটরিনা কাইফ ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও সাবেক মডেল তারকা যিনি হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র শিল্প হিসেবে খ্যাত বলিউডে অভিনয় করছেন। এছাড়াও তিনি তেলুগু, মালয়ালম ভাষার ছায়াছবিতেও অংশগ্রহণ করছেন।
ইস্টার্ণ আই সাময়িকীর পাঠকদের ভোটে বিশ্বে সবচেয়ে যৌনাবেদনময়ী এশীয় নারী হিসেবে ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত পরপর তিন বছর চিহ্নিত হয়েছেন। ব্রিটিশ নাগরিক ক্যাটরিনা কর্ম ভিসা নিয়ে ভারতে কাজ করছেন। তার প্রকৃত নাম ক্যাটরিনা টার্কুট। তিনি বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের সাথে যুক্ত আছেন তার মধ্যে মেয়ে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধমূলক কাজ অন্যতম।
ক্যাটরিনা কাইফ বিবাহিত। ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নিয়ে ভারতীয় পিতা "মোহাম্মদ কাইফ" এবং ইংরেজ মা "সুজানা টার্কুট" দম্পত্তির সন্তান হিসেবে ক্যাটরিনা কাইফের জন্ম হংকংয়ে। কাইফের ১ ভাই ও ৬ বোন রয়েছে। তার ছোট বোনের নাম ইসাবেল কাইফ। শৈশবেই তার পিতা-মাতার মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়। কাইফ একবার বলেছেন যে,
দুঃখজনকভাবে বাবার ধর্ম, সমাজ কিংবা নৈতিকতা আমার উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে নি।
কাইফের পরিবার হংকং থেকে চীনে স্থানান্তরিত হন। যখন তার বয়স ৮, তখন তারা জাহাজে চড়ে জাপান থেকে ফ্রান্সে যান। এরপর সুইজারল্যান্ড, ক্রাকোউ, বার্লিন, বেলজিয়ামসহ পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশে গমন করেন।
এ সময় ঐ দেশগুলোর প্রতিটিতে মাত্র কয়েক মাস অবস্থান করতে পেরেছেন ক্যাটরিনা। হাওয়াই থেকে শেষ পর্যন্ত তার মায়ের জন্মভূমি ইংল্যান্ডে অবস্থান করেন। ব্যাপকভাবে লোকেরা যখন জানতে পারেন কাইফ লন্ডনের মেয়ে, চূড়ান্তভাবে তখন তিনি বছর তিনেক পূর্ব থেকেই মুম্বাইয়ে অবস্থান করছেন।
10. আইশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan)
ঐশ্বর্যা রাই বা ঐশ্বরিয়া রাই, যিনি বিবাহের পরে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন হিসেবে পরিচিত, (জন্ম: নভেম্বর ১, ১৯৭৩), একজন ভারতীয় অভিনেত্রী এবং প্রাক্তন মিস ওয়ার্ল্ড। অভিনয় জগতে পদার্পণ করার আগে তিনি মডেল হিসেবে কাজ করতেন এবং ১৯৯৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব অর্জন করার পর ব্যাপক খ্যাতি লাভ করেন।
সমগ্র কর্মজীবনে রাই বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রসহ চল্লিশটিরও অধিক হিন্দী, ইংরেজি, তামিল, এবং বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
মণি রত্নমের তামিল ছবি ইরুভার (১৯৯৭) ছবিতে অভিনেত্রী হিসেবে রাই প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন এবং প্রথম বাণিজ্যিক সাফল্য পান তামিল ছবি জিন্স (১৯৯৮)-এ। তিনি সঞ্জয় লীলা ভন্সালী পরিচালিত হাম দিল দে চুকে সনম (১৯৯৯) ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।
এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেছিলেন। ২০০২ সালে ভন্সালীর পরবর্তী ছবি দেবদাস-এ তিনি অভিনয় করেন। যার জন্য তিনি দ্বিতীয় বার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।
২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল ছিলো তার কর্মজীবনের একটু বাজে সময়। এর পর তিনি অভিনয় করেন ব্লকবাস্টার ছবি ধুম ২ (২০০৬)-তে। এই ছবিটা ছিল তার বলিউডের বৃহত্তম অর্থনৈতিক সাফল্য। পরবর্তী সময় তাঁকে গুরু (২০০৭) এবং যোধা আকবর (২০০৮) এ অভিনয় করতে দেখা যায়, যেগুলি ছিলো অর্থনৈতিকভাবে সফল ছবি এবং এই ছবি গুলোতে অভিনয়ের জন্য তিনি সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিতও হন।
এইভাবে রাই ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে তার সমকালীন অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন অন্যতম অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। রাই বিয়ে করেছেন ভারতীয় অভিনেতা অভিষেক বচ্চনকে এবং তিনি অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চনের পুত্রবধূ। বিবাহের পর তার নাম হয়েছে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন।
এই তালিকা কিছু সেরা এবং খ্যাতনামা মহিলার পরিচিতি তুলে ধরেছে যারা তাদের সৌন্দর্য এবং প্রভাবের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। তবে, সৌন্দর্য একান্তই ব্যক্তিগত এবং অনন্য, এবং প্রতিটি মহিলা তার নিজস্ব পথে সুন্দর।